সাইদুল ইসলাম, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি: মুসলধারে বৃষ্টিপাত আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে কাউনিয়া তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার ঢুষমারা, তালুক শাহবাজ,পূর্ব নিজপাড়ার অংশ ,গোপীডাঙ্গা,আরাজি হরিশ্বর,চরপ্রাননাথ,শনশনিয়া,
চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, আজমখাঁ গ্রামের ৫ প্রায় শতাধিক পরিবারের বাড়ীঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও আমন ধানের ক্ষেত ও বীজ তলা পানিতে ডুবে গেছে। প্রায় অর্ধ শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উজানের ঢলে শনিবার সকাল থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।আর এতে করে তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে অবস্থিত কাউনিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি তিস্তার চর এলাকায় পানি প্রবেশ করে, তার মধ্যে ঢুষমারা, পূর্ব নিজপাড়া, তালুক শাহবাজের অংশ, গোপীডাঙ্গা,আরাজি হরিশ্বর, প্রাননাধ, আজম খাঁ,চর গনাই,হয়বতখাঁ চরের ৫ শ’ বাড়ীঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে আমন ধানের ক্ষেত ও বীজ তলা পানিতে ডুবে যায়। বিস্তীর্ণ চরের দুই হাজার একর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে উজান থেকে পানি আসায় ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। একারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ঢুষমারার চর এলাকার চাষী নজরুল ইসলাম বলেন বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের এলাকার ২ শ’ পরিবার ও চাষীর আমন ধানের ক্ষেত ও বীজ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে ।
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনছার আলী বলেন তার এলাকায় ৫ টি গ্রামের নিস্ন অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে এবং নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব বলেন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে পানি প্রবেশ করছে। কত পরিমান বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে গেছে তার প্রকৃত সংখ্যা জানা যায় নি। তবে আমরা উপজেলা প্রশাসন ও ত্রান বিভাগ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন কাউনিয়ার তিস্তা সেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢল না আসলে তিস্তার পানি আগামী কাল থেকে কমতে শুরু করবে বলে তিনি আশা পোষন করছেন।